আমার আমি কই
– জ্যোৎস্না ভট্টাচার্য ত্রিবেদী
বলতে তো চাই অনেক কিছু ,বলতে সেকি পারি
বলবো বলে মুখ খুলতেই স্তব্ধ গতি নাড়ী।
বলার যে সব ধরন ধারন রপ্ত যে নয় মোটে
বলতে গেলেই সত্যি টা যে ঠোঁটে কুলূপ আঁটে
সত্যিগুলো কঠিন বড়ই কদর্য ও বটে,
সত্য বচন শুনলে পড়ে বন্ধুচ্ছেদ ঘটে।।
আসে পাশের মানুষ গুলো যতই আপন হোক,
যে কথায় যার স্বার্থ হানি প্রকাশিবেই ক্ষোভ।।
“সদা সত্য বলিবে “বাল্যকালের শিক্ষা
বড় হলেই বদলে যাবে হবে না সত্য রক্ষা।
“পরের ঘরে যাচ্ছ তুমি, বোবার শত্তুর নেই”
এই কথাটি সর্বদা মনেতে রাখবেই।
এই বলে মা বিদায় দিলো পরের ঘরের তরে,
মনে গেঁথে মায়ের সে বাক্ গেলাম পরের ঘরে।
আজন্ম সংস্কার, সত্যি বলার অধিকার
দিয়ে বিসর্জন ,
নতুন করে মিথ্যে মানুষ হোলো যে সৃজন।।
মৌন থাকা আর মিথ্যে বলায় তফাৎ কত আর
মৌনরূপী মিথ্যাকে তাই করলাম স্বীকার।।
মেনেও নিলাম মানিয়ে ও নিলাম আমার হিসাব মতো।
পরের ঘরের অন্যায় আর মিথ্যা ও ভুল যত।।
সব ক্ষেত্রেই মৌন ব্রত করেছি ধারন
সংসার আজ সোনার আমার সুখী গৃহকোণ।।
সবাইকে সুখ দিতে গিয়ে নিজের শান্তি যত,
ধীরে ধীরে সকল কিছুই হয়েছে তিরহিত।।
এখন আমি সফল নারী, গৃহিনী, সফল মা,
তবু কেন সকল সুখে সুখী হলেম না।
সবাই বলে বৌমা ভালো, মা ও রত্নগর্ভা,
আতিথেয়তায় সবার সেরা ঘরের সর্বেসর্বা।
আমার মনে তবে কেন বিষন্নতার ছোঁয়া
কি যেন এক হারিয়ে ফেলার কষ্টের বীজ বোয়া।
নতুন মানুষ হাসি খুশি সবার মাঝে রই
খুজে বেড়াই আকূল হয়ে ‘আমার আমি’ কই।